চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে বাংলাদেশও কিন্তু প্রবেশ করেছে রোবটিক্সের জগতে। আর রোবটিক্সের মূল ভিত্তি প্রোগ্রামিং। তাই শিশু-কিশোরদের কোডিং বা প্রোগ্রামিং শেখানো অত্যাবশ্যকীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে প্রযুক্তি বিষয়ে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের রয়েছে প্রচুর আগ্রহ। তবে আশার কথা, আমাদের দেশেও এ শব্দটি বেশি শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েক বছর থেকে।কয়েক বছর আগেও প্রযুক্তিনির্ভর এই দুনিয়াতে প্রোগ্রামারের চাহিদা ছিল তুলনামূলক বেশি। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। ধীরে ধীরে সাধারণ প্রোগ্রামারের চেয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করে, এমন প্রোগ্রামারের চাহিদা বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটা সমীক্ষা বলছে, ২০২২ সাল নাগাদ সাড়ে ৭ কোটি মানুষের কাজ নিয়ে নেবে রোবট, তবে একই সঙ্গে প্রায় ১৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষের নতুন কর্মবাজার তৈরি হবে। তার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, তৈরি করতে হবে দক্ষ মানবসম্পদ। এসব কাজের মূল শুরু হবে রোবটিকসের হাত ধরে।
উদ্দেশ্যঃ
১. গণিত, প্রোগ্রামিং আর ইলেকট্রনিকস নিয়ে লেগে থাকার মানসিকতা তৈরি করা।
২. একাডেমিক জ্ঞানের সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়া।
৩. ব্যবহারিক ক্ষেত্রের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
৪. বিভিন্ন প্রজেক্ট তৈরি করা এবং গবেষণা কাজ পরিচালনা করা।
৫. উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগত ধারণাগুলি পুষ্ট করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা।
৬ .জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ও প্রকল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা।
৭. অন্যান্য দেশী এবং বিদেশী বিদ্যালয়ের সাথে একসাথে কাজ করা।
৮. প্রতি শিক্ষাবর্ষে রোবোটিক্স বিষয়ে একটি জার্নাল প্রকাশ করা।
৯. রোবটিক্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানবিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করা।